১মিনিটে কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
ইন্টারনেট আসার পর থেকেই কোন কিছুই এখন কঠিন নয়। কারণ অনলাইনের মাধ্যমে কারেন্ট বিল ঘরে বসে দিতে পারবেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কারেন্ট বিল চেক করার নিয়ম অনুযায়ী বিল চেক করতে পারবেন। আজকে আমরা জানতে পারবো কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে।
সেই সাথে জানবো সাব মিটারের বিল বের করার নিয়ম।এক কথায় বলতে গেলে কারেন্ট বিল সম্পর্কিত সকল তথ্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র:কারেন্ট ও সাবমিটার এর বিল বের করার নিয়ম
- কারেন্ট বিলও সাবমিটারের বিল বের করার নিয়ম
- সহজেই ফ্যানের বিদ্যুৎ খরচ বের করার উপায়
- অফিসের বিদ্যুৎ বিলের হিসাব যেভাবে হয়
- পল্লী বিদ্যুতের বিল চেক করার নিয়ম
- বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
- অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
- মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করার পদ্ধতি
- কারেন্ট বিলের কাগজ হারিয়ে গেলে করণীয়
- গিজার এর কত মিনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে
- মন্তব্য:করেন্ট বিল বের করার নিয়ম
কারেন্ট বিলও সাবমিটারের বিল বের করার নিয়ম
সহজেই ফ্যানের বিদ্যুৎ খরচ বের করার উপায়
এখন গরমের আবহাওয়া কিছু দিন ধরে শুরু হয়েছে। গরম তীব্র না হলেও সবার বাড়িতে কম বেশি ফ্যান চলছে। গরমে ফ্যানের ঠান্ডা হাওয়া আরাম দিলেও মাসের শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে কেউ হয়তো সুখকর অনুভব করেন না। আপনার কি জানা আছে একটি ফ্যান চালালে মাসের শেষে আসলে খরচ কত হয়।আমাদের যদি স্বচ্ছ ধারণা থাকে।
তাহলে আমরা সহজেই বাসা বাড়ি ফ্যানের বিদ্যুৎ বিল কত আসবে তা হিসাব করতে পারব। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে কিভাবে আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যানে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করব। সিলিং ফ্যান সাধারণত একটানা অনেক সময় ধরে চলে। তাই এই ফ্যানে ৬০ থেকে ১০০ ওয়াটের শক্তি তৈরি করা হয়।
এখন বাসা বাড়িতে যদি প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে একটি ফ্যান চলে তার ফ্যান যদি ৬০ ওয়াটের হয়ে থাকে তাহলে বিদ্যুৎ খরচ হয় (৬০×১০০) =৬০০ ওয়াট বা ০.৬ কিলোওয়াট। এবার বিদ্যুৎ বিল যদি ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৫০ পয়সা হয় ওই ফ্যান যদি প্রতিদিন ১০ ঘন্টা চলে তাহলে খরচ হবে(৭.৫০×০.৬) =৪.৫০ বা ৪ টাকা ৫০ পয়সা। মাসে ওই ফ্যানের জন্য বিদ্যুৎ বিল আসে(৪.৫০×৩০) =১৩৫ টাকা।
এভাবে হিসাব করলে ১০০ ওয়াটের ফ্যান এর জন্য মাসিক খরচ হবে ২২৫ টাকা। বাজারে অনেক কম ওয়াটের ও ফ্যান পাওয়া যায় যার জন্য ভিডিও গুলো তুলনামূলকভাবে কম আসে।
অফিসে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব যেভাবে হয়
আমরা অফিস বা বাসা বাড়িতে কি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি, তা কি পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছি। তার একটি সহজ বিদ্যুৎ বিল হিসাব দেখাবো। তবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার আগে আমাদের বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আমাদের অফিসের বিদ্যুৎ বিল হিসাব কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে সহজে নিচে হিসাব দেওয়া হল।
যেভাবে ইউনিট হিসাব করা হবে:(মোট ওয়াট×মোট ঘন্টা) ÷১০০০=ইউনিট বা (100w×10Hr.) ÷1000=1unit. অর্থাৎ ১০০ ওয়াটের একটি লাইট অথবা একটি ফ্যান অথবা একটি টিভি ১০ ঘন্টা চললে এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়।
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য প্রথমে আমরা একটি নিয়ম অনুসরণ করব এবং পরে তা বাসা বাড়ি বা অফিসে অথবা যে কোন স্থানে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করার জন্য ব্যবহার করতে পারব।
নেট বিল= এনার্জি বিল+মিটার বিল
এনার্জি বিল= এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ(kWh) [প্রতি ইউনিটের মূল্য]
মিটার বিল= ডিমান্ড চার্জ +সার্ভিসিং চার্জ
ডিমান্ড চার্জ= ১৫ টাকা পার কিলোওয়াট
সার্ভিস চার্জ= ১০ টাকা সিঙ্গেল ফেজের জন্য, ৩০ টাকা থ্রি ফেজের জন্য
ভ্যাট= নেট বিল এর সাথে ৫% যোগ
নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে বিল পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা= নেট বিলের সাথে৫% যোগ
লোডের হিসাব: উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য একটি নিয়ম সেখানে উল্লেখ আছে নেট বিল= এনার্জি বিল+মিটার বিল। এনার্জি বিল জানার জন্য প্রথমে আমাদের জানতে হবে এক মাসের ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ(kWh) ও প্রতি ইউনিটের মূল্য। এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ জানার জন্য আমাদের লোডের হিসাব করতে হবে অর্থাৎ কি কি লোড আমাদের ব্যবহার করছি সেই লোড গুলো কত ওয়াটের।
1kWh=1 unite(kWh হলো কিলোওয়াট আওয়ার)
1hp= 746watt
Power, P=Vlcos (single phase)
Power, P=√3Vlcos (Three Phase)
1000W=1kW
h=time in hour
Kw সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করলে গুনফল ইউনিট হবে।
যদি লোড হোয়াট এ দেওয়া থাকে তাহলে সেটা w এর মান এখানে ডাবলু মানেই ওয়াট। লোডে কারেন্ট ও ভোল্টেজ মান দেওয়া থাকলে তা পাওয়ারের সূত্র দিয়ে বের করতে হবে পাওয়ার এর সূত্র শুরুতে প্রথমে ইনভার্টেড কমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হর্স পাওয়ার দেওয়া থাকলে 746 দিয়ে গুন করে w মানে watt এ নিতে হবে।
W কে kW নিতে হবে অর্থাৎ w কে এক ১০০০ দিয়ে ভাগ করে কিলোওয়াট নিতে হবে। kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করে ইউনিট বের করতে হবে।
বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব এবার একটি বাসা বাড়ির উদাহরণ দেখাবো যেখানে প্রতিমাসে কেমন বিল আসতে পারে: একটি বাসা বাড়িতে ৮০ watt এর দুটি ফ্যান, ৪০ watt এর ৩টি লাইট, 220 V, 0.4A,0.8pf একটি টেলিভিশন এবং 2hp এর একটি পানি তোলার মটর দৈনিক গড়ে ৬ ঘন্টা করে চলে তাহলে ডিসেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল কত টাকা হবে যদি প্রতি ইউনিটের মূল্য ৬.৫ টাকা করে হয়।
৮০ওয়াটের ২ টি ফ্যান১ দিনে যেওয়ার্ড খরচ করবে=৮০×২=১৬০w
৪০ হোয়াট এ ৩টি লাইট এর জন্য ১ দিনে যে ওয়াট খরচ করবে=৪০×৩=১২০w
১ টেলিভিশনের জন্য ১দিনে যে ওয়াসট খরচ করবে=pVlcos=2200.40.8=70.4W
2hp একটি মোটর একদিনে যে ওয়াট খরচ করবে=2×746=1492w
আমরা জানি ওয়াটকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করলে কিলোওয়াট পাবো। তাহলে একদিনে যে কিলোওয়াট খরচ হবে=1842.4/1000=1.8424kW শুধুমাত্র ছয় ঘন্টার জন্য চলবে তাহলে ৬ ঘন্টা করে চললে=1.8424×6=11.0544kWh
পুরো ডিসেম্বর মাসের ইউনিট খরচ=৩১ দিনে তাহলে এই মাসে মোট ইউনিট খরচ হবে=11.0544×31=342.686kWh( ইউনিট) দেয়া আছে প্রতি ইউনিটের মূল্য 6.5 টাকা করে ওই মাসে বিদ্যুৎ বিল হবে=342.686×6.5=2227.46 টাকা।
বাস্তবিক হিসাব আমরা এখন যে হিসাবটি দেখলাম এটা পাঠ্যপুস্তক এর একটা গাণিতিক সমাধান মাত্র এর বাস্তবিকভাবে চিন্তা করতে গেলে আমাদের গাণিতিক সমাধানের 342.686kWhথামতে হবে। আমরা প্রথমেই বলেছি নেট বিল= এনার্জি বিল+মিটার বিল
এনার্জি বিল= এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ(kWh) × প্রতি ইউনিটের মূল্য। kWh এর মান পেয়েছি342.686kWh
১ থেকে৭৫=৭৫
৭৬ থেকে ২০০=১২৫
২০১থেকে৩০০=১০০
৩০১থেকে৩৪২.৬৮৬=৪২.৬৮৬
সর্বমোট=৭৫+১২৫+১০০+৪২.৬৮৬=৩৪২.৬৮৬ এ মাসে বিদ্যুৎ বিল ব্যবহারের জন্য এনার্জি বিল=(৭৫৩.৮) +(১২৫৫.১৪) +(১০০৫.৩৬) +(৪২.৩৮৬৫.৬৩) =১৭০৩.৮২টাকা
সার্ভিস চার্জ= ১০ টাকা
ডিমান্ড চার্জ= ৩০ টাকা
ভ্যাট =৫%
মিটার বিল= ডিমান্ড চার্জ+ সার্ভিস চার্জ=৩০+১০=৪০টাকা
মোট বিল=(১৭০৩.৮২+৪০) =১৭৪৩.৮২[ ভ্যাট ছাড়া]
৫% ভ্যাট=১৭৪৩.৮২×৫%=৮৭.২৩টাকা
মিটার ভাড়া১P =৪০টাকা
তাহলে নেট বিল= ১৭৪৩.৮২+৮৭.২৩+৪০=১৮৭১.০৫টাকা
বি দ্র: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত ৫%ভ্যাট দিতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়ম
পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করার জন্য আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করতে পারবেন। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়ম খুবই সহজ। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ও কোড ডায়াল করে বিল চেক করতে পারবেন। অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করার জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপ লগইন করুন।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করার সময় বিলের পরিমাণ দেখতে পারবেন। পে বিল থেকে ইলেকট্রিসিটি অপশনে যান। সেখানে আপনার বিল কাগজে থাকা এসএমএস অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে বর্তমান মাসের পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেখতে পাবেন। এভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করা যায়। এটি খুব সহশ্রয়ী ও সহজ। পল্লী বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়মসমূহ নিচে দেওয়া হল:
- প্রথমে *247#ডায়াল করুন
- ৫ নম্বর থেকে বিল পেয়ে সিলেক্ট করুন
- ১ নাম্বার দিলে electricity বাছাই করুন
- ১নং অপশন থেকে pally biddut সিলেক্ট করুন
- ১নম্বর থেকে check bill সিলেক্ট করুন।
- বিলের কাগজ থেকে sms bill A/C দিন।
- mmy ফরমাটেবিল এর মাশ ও বছর দিন
- বিকাশ পিন দিয়ে বিল চেক নিশ্চিত করুন
সব ঠিক থাকলে আপনার মোবাইলে এসএমএস আসবে সেখানে বিল পরিমাণ দেখতে পারবেন
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
বিদ্যুতের খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করা। যেমন এলইডি বাল্ব। এই বাল্ব গুলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় অনেক কম খরচ কম খরচ করে। আলো অনেক বেশি। রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত, সেগুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন হয়।
মিটার নিয়মিত পরীক্ষা করা। কত ইউনিট বিদ্যু ব্যবহার করছেন তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন যদি দেখবেন স্বাভাবিকভাবে তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তাহলে মিটার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা যাচাই করুন। অনেক সময় মিটারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও ভুল এডিটিং আসতে পারে। যার ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
ইলেকট্রিক সামগ্রী ও ডিভাইস ব্যবহারের পর ইলেকট্রিক সামগ্রী প্লাক খুলে রাখুন। ইলেকট্রিক ডিভাইস যখন ব্যবহৃত থাকে তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত। অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ড বাই মডে থাকা সত্বেও বিল বেশি আসে। বন্ধ থাকল বিদ্যুৎ খরচ কম হয়ে থাকে। এজন্য কোন বিদ্যুৎ সামগ্রী ব্যবহার চার্জ করার পর অবশ্যই সকেট থেকে প্লাগ খুলে রাখুন।
এখন প্রচন্ড গরম পড়েছে এসির তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখলে বিদ্যুৎ খরচটা অনেকটাই কমে আসে। তাই সবাই স্বাভাবিকের তুলনে বেশি এসি ব্যবহার করছেন কিন্তু এসি বেশি ব্যবহার করলেও যে অনেক বেশি বিল দিতে হবে এমন কোন কথাই নেই। এসির তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী বা তার উপরে রাখুন এর সঙ্গে এসি নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং সার্ভিস করেন অনেক সময় দীর্ঘদিন সার্ভিস না করলে এসি বেশি বিদ্যুৎ খরচ বেরে যায়।
দিনের বেলায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ না করে প্রাকৃতিক আলো বাতাস প্রবেশের জন্য জানালা এবং দরজা পুরোপুরি খুলে দিন। সূর্যের আলো তাপ সরাসরি ঘরে প্রবেশ বন্ধ করতে ভারী পর্দা বা গাছপালা ব্যবহার করতে পারেন। এ ফলে আপনার কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে কক্ষ শীতল রাখতে সারাক্ষণ এসি বা ফ্যান চালাতে হবে না।
বাসায় তাপ নিরোধক উপায় ব্যবহার করুন বাড়ির দেয়াল, ছাদ ও মেঝের মধ্যের তাপ নিরোধক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। ফলে তাপমাত্রা কমানোর জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যয় করতে হবে না। ফাইবার গ্লাস, সেলুলোজ, ফোম সহ অন্যান্য জিনিসকে তার নিরোধক উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ঘরের মেঝেতে একটু কাপড়ের উপর ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ব্যবহার করেও ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এসব তাপ নিরোধক উপকরণ হিসেবে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে বাসার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
আপনার অনেকের রুম থেকে চলে যাওয়ার সময় লাইট ফ্যান বন্ধ করতে ভুলে যান। এই অপচয়ের অভ্যাস পরিবর্তন করে সাশ্রয় জীবন যাপনের অভ্যস্ত করতে পারলে। অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়ে থাকবে। তাই অবশ্যই বাসা বা রুম থেকে বের হওয়ার সময় বিদ্যুৎ ফ্যান লাইট অফ করে বের হবেন।
আরও পড়ুনঃ
প্রাকৃতিক শীতলতা পেতে গাছপালার বিকল্প কিছু নেই। সাম্প্রতিক দেবদাহের ফলে আপনার হয়তো এ বিষয়টি আগে আরো ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। গাছপালা কেটে আমরা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছি। তার স্নিগ্ধ শীতল সবুজে আসন্ধ্যে থাকতে বাড়ির আশপাশে যত বেশি সম্ভব গাছ লাগাতে পারেন। যেমন গাছ থেকে অনেক বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাবেন, তেমনি গাছের ছায়া এবং শীতল বাতাস আপনার শরীর এবং মনকে ঠান্ডা করে দিতে পারে এবং আপনাদের বাড়িকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি বিদুর সাশ্রয়ী করতে চান তাহলে রেফ্রিজারেটর, টিভি, ওয়াশিং মেশিনের মত বিদ্যুৎতিক সরঞ্জাম নিয়মিত ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন। এগুলো কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং পুরানো সামগ্রিক থাকলে সেগুলোকে ভালোভাবে সার্ভিসিং করান সম্ভব হলে আধুনিক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য কিনুন।
সৌর বিদ্যুৎকে প্রাথমিকভাবে ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। তবে যদি এটিকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন। তাহলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে আর খরচ বাঁচবে। অনেক সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের আরেকটি সুফল হচ্ছে আপনার জাতীয় ক্রীতির বিদ্যুতের উপর নির্ভর করতে হবে না। তাই যারা পরিবেশের ক্ষতি করতে চান না, তাদের জন্য একটি উত্তম বিকল্প। বাসার বারান্দা ছাদ কিংবা অন্য যে কোন ছোট্ট জায়গায় সোলার প্ল্যান এর ব্যবহার করা উচিত।
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে। দৈনন্দিন অনেক কাজে এখন সেরে নেওয়া যায় অনলাইনে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিরামহীন প্রসারে গ্রাহকদের সঙ্গে সরকারি সাময়িক ও বেসরকারি পরিষেবা গুলোর আর্থিক লেনদেনের মেলবদ্ধ হয়েছে আরও সহজতার। প্রযুক্তির কারণে শেষ হয়েছে দীর্ঘ লাইন দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার দিন।
এখন দেশে যে কোন জায়গা থেকে ঘরে বসে নিশ্চিন্তে বিল বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়। টেলিটক ওয়ালেট এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি। যেকোন টেলিটক নাম্বার থেকে ডায়াল করুন *727#
আপনি নিম্নোক্ত মেনু পাবেন
REB bill Payment:
Type 1 for Registration
Type 2 for Bill Payment
Type 3 for more option
1 প্রেস করার পর এই মেনু পাবেনঃ
Type 2 for wallet registration (নিজের টেলিটক মোবাইল থেকে বিল পরিশোধের জন্য)
Type 1 for subscribe registration (রিটেইলারের মোবাইল থেকে বিল পরিশোধের জন্য)
2 প্রেস করার পর নিম্নোক্ত তথ্যগুলো দিতে হবেঃ
Type account number: বিলের কপিতে ছাপানো sms account number/ sms হিসাব নাম্বার
Type National ID number: গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
Type contact number: গ্রাহকের মোবাইল নাম্বার
Type name: গ্রাহকের নাম
তারপর send বাটনে ক্লিক করলে গ্রাহকগণ ফিরতি মেসেজ পাবেন
Reply: congratulations! Md........ registration completed successfully for REB bill Payment, Customer ID (576578), contact no 0178....... and your password (3445) [চার ডিজিট] ।
বিল পরিশোধের নিয়মঃ
পদ্ধতি-১: ডায়াল করুন-*727*2*bill no*password#
পদ্ধতি- ২: ডায়াল করুন-*727*2*customer ID*bill month*bill year*password#
বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধঃ
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্টে গেটওয়েটিং। বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায় বিকাশের মাধ্যমে। যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রিপেইড ও পোস্টপেইড বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়া যাবে সেগুলো হল পল্লী বিদ্যুৎ, ডেসকোনেস্কোর, ডিপিডিসি, বিপিডিবি, ওয়েস্ট জোন।
আরও পড়ুনঃ
এছাড়া এখানে পিলার হিসেবে বিপিডিবি সিলেটের প্রিপেইড পরিষেবাটিও সংযুক্ত আছে। বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল পেয়ে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড,এরপর ইন্সটল করে নিতে হবে। এরপর বিকাশ একাউন্ট নাম্বার হিসেবে মোবাইল নাম্বার এবং ৫ অংকের পিন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপর থেকে প্রতিবার বিকাশে ব্যবহারের সময় একাউন্টের জায়গার স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নাম্বারটি বয়সে যাবে। শুধু পিন নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে। এখানে উল্লেখ যে প্রতিভার বিকাশ অ্যাপ এর প্রবেশের সময় মোবাইলের লোকেশনটি অন রাখতে হবে।
এবার বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার নিম্নলিখিত কিছু অনুসরণ করতে হবেঃ
- পিন দেয়ার পর অ্যাপে হোমস্ক্রিন আসবে এখানে থেকে পে বিলে- এ যেতে হবে।
- পে বিলে স্ক্রিনের প্রতিষ্ঠানের ধরনের ক্যাটাগরি থেকে বিদ্যুৎ- এ ট্যাপ করলে নিচের দিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখাবে।
- যে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে
- এবার পোস্টপেইড এর ক্ষেত্রে বিলের সময়সীমার লিস্ট থেকে যে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হবে সেই মাস নির্বাচন করে কাস্টমার নাম্বার দিতে হবে। এই আইডি নাম্বারটি মূলত ৮ অংকের একটি সংখ্যা যেটি প্রতি মাসে সরবরাহকৃত বিগত মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপিতে উল্লেখ থাকে। প্রিপেইডের ক্ষেত্রে এবং যোগাযোগ রেফারেন্স নাম্বার দিতে হবে।
- বিলের সময়সীমা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট মাসের জন্য ধার্যকৃত বিদ্যুৎ বিল দেখাবে। পরের স্ক্রিনে নিয়ে বিদ্যুৎ বিল এর পরিমাণটি উল্লেখ করে পিন নাম্বার দিতে হবে। অতঃপর বিকাশ একাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকলে কনফার্ম বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখলে বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
বিল জমা সঙ্গে সঙ্গে জমা রশিদ দেখা ও ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
অন্যদিকে প্রিপেইড এর ক্ষেত্রে বিল জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এসএমএস এর মাধ্যমে এটি টোকেন নাম্বার দেওয়া হবে। এভাবে টোকের নাম্বার না পেলে মোবাইল মেসেজ অপশন থেকে মিটার নাম্বার লিখে মেসেজ করতে হবে। তখন ফিরতি এসএমএসে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত টোপের নাম্বারটি।
নাম্বারটি প্রিপেইড মিটারে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বিদ্যুৎ বিল পরিষদ।
মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করার পদ্ধতি
মিটার দিকে বিদ্যুৎ বিল বের করতে হলে প্রথমে মিটার দেখতে হবে রানিং ইউনিট কত এবং আগের ইউনিট কত আছে সেটা জেনে রাখতে হবে তাহলে রানিং ইউনিট থেকে আগের ইউনিট বার দিলে যত ইউনিট হয় ইউনিট প্রতি যত তা দিয়ে গুন করার পরে সার্ভিস চার্জ মিটার ভাড়া ভ্যাট সহ অন্যান্য চার্জ করলে আপনার বিদ্যুৎ বিল হিসাব করতে পারবেন আপনি মিটারে দেখবেন (kwh) লেখা সহ একটা নাম্বার আসবে যে আপনি এই পর্যন্ত কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন সেই পরিমাণ।
বিল কে হিসাব করার জন্য প্রথমে আপনার পরবর্তী মাসের বিলের কাগজ রিপোর্ট দরকার পড়বে। আপনার মিটার যদি ডিজিটাল হয় তাহলে খুব সম্ভবত আপনি ২ টা এর নাম্বার। একটার পর আরেকটি আসতে দেখতে পারবেন আর তার মধ্যে থেকে যেটা নিচে kwh বা kw/h লেখা সেই নাম্বারটা নোট করবেন। দশমিক এর পরের সংখ্যাগুলো ধাতব্যের মধ্যে আনার দরকার নেই।
শুধু পূর্ণ সংখ্যাটি নোট করবেন এবার আপনার পরবর্তী মাসের বিল। কাগজের বাম পাশে বর্তমান মিটার রিডিং টেবিলের অফ পিক ফ্ল্যাট কলামের বর্তমান র এর নাম্বারটি নোট করুন। এবার পূর্ববর্তী নাম্বার যা মিটার থেকে পেয়েছেন তা থেকে কাগজ থেকে প্রাপ্ত নাম্বার বিয়োগ করুন। এবার কাগজের বাম পাশে একটা প্রায় ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে প্রতি ইউনিটের দাম লেখা আছে।
আরও পড়ুনঃ
প্রথম লাইফ লাইন সাধারণত ১ থেকে ৫০ এর জন্য যে দাম লেখা তা দিয়ে লাইফ লাইন এর দাম কি গুণ করবেন। আর আপনার সর্ব প্রথমের করা বিয়োগফল থেকে লাইফ লাইন বাদ দিয়ে আর গুণফলে নোট করেন। একই কাজ ততক্ষণ পর্যন্ত একের পর এক লাইন লাইন এর জন্য করতে থাকেন যতক্ষণ না আপনার সর্বপ্রথম গুনফল জিরো বা এর সংখ্যা হয় এর সংখ্যা হয়।
তবে সর্বশেষ লাইফ লাইন লাইনের দামের সাথে সেই জিরো সংখ্যা গ্রহণ করার প্রাপ্ত গুণফল। আপনার সেই নোট করা বাকি কোন ফল গুলোর সাথে যোগ করুন। এবার প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে মিটার ভাড়া জরিমানা যদি থাকে ট্রান্সফরমার ভাড়া ভ্যাট যোগ করুন।
কারেন্ট বিল এর কাগজ হারিয়ে গেলে করণীয়
আপনার বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হারিয়ে গেল অনলাইন থেকে বের করার জন্য এই http:119.40.95.162.8991/ Pages/ User/BillPrint.aspxওয়েবসাইটের ভিজিট করুন। উপরের আইকন থেকে কাস্টম বিল অপশনে ক্লিক করে আর ডিজিটের কাস্টম নাম্বার লোকেশন কোড বিল month সিলেক্ট করে জেনারেট রিপোর্ট অপশনে ক্লিক করে উক্ত মাসের বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ বের করতে পারবেন।
হারানো ভিডিও বিলের কাগজ বের করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অফিসিয়ালhttp:119.40.95.162.8991/ Pages/ User/BillPrint.aspx ওয়েবসাইট এর লিংকে প্রবেশ করুন
এবার উপরের মেনুবার থেকে customer বিল অপশনে ক্লিক করুন । আপনার বিদ্যুৎ বিলের ৮ ডিজিটের customer no, location code এবং যে মাসে বিল বের করতে চান উক্তবিল month সিলেক্ট করে জেনারেট রিপোর্ট অপশনে ক্লিক করুন।
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ সংগ্রহ করুন সকল তথ্য সঠিক থাকলে পিডিএস ফর্মেটে আপনার হারানো মাসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ বের হয়ে যাবে আপনি বিলের কাগজ প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
গিজড়ে কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে
১০০০ ওয়াটে গিটার যত ঘন্টা চালাবেন তত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে তাই তিন হাজার ওয়ার্ডের যত ঘন্টা চালানো তত তিন ইউনিয়নের বিদ্যুৎ খরচ হয় অর্থাৎ বিদ্যুৎ খরচ ১ ঘন্টা ৩ ইউনিট১.৫ ঘন্টায়৪. ৫ ইউনিট, ২ ঘন্টায় ৬ ইউনিট।
ইউনিট হল শক্তি সমতুল্য একক, কিলোওয়াট-আওয়ার। ১ ইউনিট=১ কিলোওয়াট- আওয়ার=১ কিলোওয়া×১ আওয়ার
তাই এই গিজারটি যত ঘন্টা চলবে তত ১ কিলোওয়াট- আওয়ার বা তত ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
মন্তব্য:কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
প্রতি সেকেন্ডে ১ কিলোওয়াট হাড়ে এক ঘন্টা যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তির অন্য শক্তিতে রূপান্তরের হয়তো হয় বা ব্যয় হয় তাকে এক কিলোওয়াট ঘন্টা বলা হয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করে গেল ওয়ার্ড ঘণ্টা এক ওকে বাণিজ্যিকভাবে এই বোর্ড অফ ট্রেড ইউনিট বা সংক্ষেপে শুধু ইউনিট বলা হয়ে থাকে।
আশা করছি আপনি কিভাবে বিদ্যুৎ বিল ও সাবমিটারের বিল বের করবেন তা বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার এ ধরনের কোন আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো করে আসতে পারেন ।প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আর ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ এই পর্যন্ত ধন্যবাদ সবাইকে।
রুমু ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url